জলাবদ্ধতা থেকে রেহাই পাওয়ার সুখবর নেই চট্টগ্রাম নগরবাসীর
প্রকাশিত : ১৬:২৪, ১২ মে ২০১৭ | আপডেট: ১৮:৩১, ১২ মে ২০১৭
জলাবদ্ধতার হাত থেকে আপতত রেহাই পাওয়ার সুখবর নেই চট্টগ্রাম নগরবাসীর। ২০৩০ সাল পর্যন্ত সময় লাগবে জলাবদ্ধতা সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে। পাশাপাশি নগরীর ৭০ শতাংশ এলাকা স্যুয়ারেজ ব্যবস্থার আওতায় আনতে সময় লাগবে আরো ৪৫ বছর। প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০৬০ সালে, ব্যয় ধরা হয়েছে ২২ হাজার কোটি টাকা। চট্টগ্রাম মহানগরীর স্যানিটেশন ও ড্রেনেজ মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন আলোচনায় এমনটাই জানান চট্টগ্রাম ওয়াসার কর্মকর্তারা।
চট্টগ্রাম মহানগরীর উন্নয়নে ১৯৯৫ সালে সিডিএ প্রণয়ন করে ১৫ বছর মেয়াদী ড্রেনেজ মাস্টার প্ল্যান। আর ২০০৯ সালে চট্টগ্রাম ওয়াসা প্রণয়ন করে স্যানিটেশন মাস্টার প্ল্যান। এরিমধ্যে শেষ হয়েছে দু’টি মহাপরিকল্পনা বাস্তাবায়নের নির্ধারিত সময়ও। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। সামান্য বৃষ্টিতেই নগরী তলিয়ে যায়; সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা।
এ অবস্থায় আবারো উদ্যোগ নেয়া হয় ড্রেনেজ মাস্টার প্ল্যান ও স্যানিটেশন প্ল্যান আধুনিকায়নের। বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় এ দু’টি মহাপরিকল্পনা হালনাগাদ করার কাজ করছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বৈঠক হয় সিটি মেয়রসহ জনপ্রতিনিধিদের সাথে। তুলে ধরা হয় মহাপরিকল্পনার বিভিন্ন দিক।
নতুন এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে ডিপিপি জমা দেয়ার কথা জানান চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি জানান, ২০৩০ সালের মধ্যে চট্টগ্রাম মহাগরীর জলাবদ্ধতা সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসা সম্ভব হবে।
আগামী প্রজম্মের কথা বিবেচনায় নিয়ে চট্টগ্রামকে আধুনিক নগরী হিসাবে গড়ে তুলতে হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করার কথা জানান সিডিএ চেয়ারম্যান।
এদিকে জলাবদ্ধতা নিরসন এবং নগর উন্নয়নে জনসচেতনতা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন।
দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনার পাশাপাশি স্বল্প ও মধ্য মেয়াদী পরিকল্পনার মাধ্যমে জলাবদ্ধতা নিরসন এবং স্যুয়ারেজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবে এমনটাই প্রত্যাশা নগরবাসীর।
আরও পড়ুন